নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই বরিশাল নৌপথে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনাকালীন এই দুর্যোগে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে অনেকটাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে যাত্রীদের নিশ্চিত হচ্ছে সামজিক দূরত্ব। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পরেও কিছু অসচেতন যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বেগ পেতে হয়েছে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে ডেক শ্রেণীর যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনের। এ কারণে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে টিকেট বিক্রি কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছেন তারা।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ডেক বা কেবিনের টিকেট লঞ্চে বিক্রি করতে দেওয়া হচ্ছে না। টার্মিনালের বাইরে পার্কিং ইয়ার্ডে বসে সীমিত আসনের (সার্ভে সনদে উল্লেখিত) টিকেট বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এই বিষয়টি মনিটরিং করছে বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরুর পর থেকেই নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা পূর্বেই একযোগে লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, টার্মিনালের বাইরে নির্ধারিত স্থানে প্রতিটি লঞ্চ কোম্পানির জন্য একটি করে টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। যা খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। যাতে করে যাত্রীগণ টিকেট নিয়েই টার্মিনাল প্রবেশ করতে পারেন। লঞ্চের মালিকদেরকে সব শ্রেণীর টিকেট (কেবিন ও ডেক) অনলাইনে বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদিও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টা বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটা সহজে বাস্তবায়নের জন্য লঞ্চ মালিকদের শহরের বিভিন্ন স্থানে, বাস স্ট্যান্ডে এমন কি দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থা করতে বরিশাল নদী বন্দর হতে পত্র দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, সার্ভে সনদে উল্লেখিত আসনের বেশি টিকেট বিক্রি না করলেই প্রতিটি লঞ্চে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা একেবারেই সহজ হবে। তবে এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকদের অবশ্যই আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। কিছু সময়ের জন্য যাত্রীরা টিকেটের বিষয়ে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়লেও ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। এছাড়া এ বিষয়ে গত ১ জুন জেলা প্রশাসক এক বিশেষ সভা করেও লঞ্চ মালিকগণকে বিষয়টি যথাযথ ভাবে প্রতিপালনের জন্য কঠোর ভাবে জানিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যে যাই বলি না কেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যাত্রীগণকেই বেশি সচেতন হতে হবে। তবেই সকলে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। অন্যথায় আগামীতে ভয়াবহ দিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে। সবাইকে ভাবতে হবে আমরা যারা সেবাদাতা তাঁরাও কারও ছেলে, কারও ভাই, কারও স্বামী, কারও বা
Leave a Reply